CAA এবং গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে বোনের টিকিটের বিনিময়ে আপোশ প্রদ্যুৎ এর

Entry Thumbnail
ফাইল চিত্র
Sujata Adhikari

রাজনীতিতে বড় বড় স্লোগান এবং প্রতিশ্রুতির ঝুলি এগুলি সাধারণ মানুষদের জন্য আকাশ কুসুম কল্পনা কিংবা ডুমুরের ফলের মত ত্রিপুরা রাজ্যে জনজাতি অংশের মানুষদের নিয়ে বহু রাজনৈতিক সংগঠন গড়েছে এবং ভেঙেছে কিন্তু কংগ্রেস ঘরানার প্রদ্যুৎ কিশোর তৈরি করেছিলেন তিপ্রা  মথা দলটিকে তৈরি করেছিলেন এবং এই দলের উদ্দেশ্য ছিল জনজাতি অংশের মানুষরা বিগত বছরে বঞ্চিত থেকেছে তাদের সেই বঞ্চনার বিষয়গুলিকে ইস্যু তৈরি করে ভোট ব্যাংক তৈরি করেছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে কিন্তু এই চুক্তিতে নেই মাথার আলাদা রাজ্যের দাবির কোন উল্লেখ এই চুক্তিতে নেই ডিরেক্ট ফান্ডিং কিন্তু তারপরও এই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত করেছে মথা সুপ্রিমো আর তখন থেকেই জনজাতি অংশ সমালোচনা শুরু হয়েছে যে প্রদ্যুৎ কিশোর অর্থাৎ এককালের বুবাগ্রা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে কম্প্রোমাইজ করেছেন আর বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে।লোকসভা নির্বাচনের মুখে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশজুড়ে বহু চর্চিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর করেছে।ভোটের মুখেসিএএকার্যকর করা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়েছে। বিশেষ করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামদলগুলি তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। এককথায়,জাতীয় রাজনীতি এখনসিএএইস্যুতে সরগরম। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সিএএ কার্যকর করা নিয়ে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের হাতে তৈরি তিপ্রা মথা দলের সুর একেবারেই নরম শোনা যাচ্ছে। মোদ্দাকথা, সিএএ ইস্যুতে নিজেদের অভিমত এবং অবস্থান দুটোই পাল্টে নিয়েছে তিপ্রা মথা। সিএএ কার্যকর করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরগেট এলাকায় তিপ্রা মথার ছাত্র সংগঠন টিএসএফের পক্ষ থেকে কয়েকজন কর্মী বিক্ষোভ প্রদশন করে এবং সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তিটি আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।অথচ এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এক সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরা রাজ্য। প্রদ্যোত কিশোরের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে মাধববাড়িতে গুলী পর্যন্ত চলেছে।আহত হয়েছিলো বেশ কয়েকজন। আন্দোলনের আগুনে পুড়েছে একাধিক দোকান। নষ্ট হয়েছে প্রচুর সম্পত্তি।শুধু তাই নয়, সিএএ- এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত মামলা দায়ের করেছিলেন প্রদ্যোত কিশোর।এই ইস্যুতেই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন প্রদ্যোত।গড়ে তুলেছিলেন এনজিও।সেই এনজিওর ব্যানারেই সিএএ-এর বিরুদ্ধে রাজ্যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।তার দাবি ছিলো, কোনও অবস্থাতেই ত্রিপুরায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা যাবে না। এরপর গোমতী-হাওড়া দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। পরিস্থিতিও বদল হয়েছে। এখন প্রদ্যোত কিশোর শাসকদল বিজেপির মিত্র শক্তি।যদিও সিএএ কার্যকর করা নিয়ে এখনও তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।তবে দলের সভাপতি বিজয় রাজ্বলের বক্তব্যে তাদের অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া, এটাও ঠিক যে ষষ্ঠ তপশিল এলাকাকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।

0 Comments

Leave a Comment