শাক সবজি
রাজ্যে আকাশছোঁয়া মূল্য শাকসবজির, মাথায় হাত ক্রেতা বিক্রেতা দের। সবজির আকাশছোঁয়া দাম মাছ ও মাংসের দামকে ছাড়িয়ে যাওয়া ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগ হয়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ, বাজার-যাত্রীরা ব্যাপক হতাশা এবং ক্ষোভের দিকে পরিচালিত করে মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি বহন করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ক্রেতাদের মতে, লক্ষ্মীপূজার পর থেকে দামের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। “প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা আমাদের সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। সবজি বিক্রেতারা তাদের খুশি মত দাম বাড়াচ্ছেন, এবং আমরা যখনই বাজারে যাই তখনই আমরা হতবাক হয়ে যাই,” এক হতাশ ক্রেতা এমনটাই বলেন।সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে এবং আরও শোষণ রোধে অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জনগণ। “যদি শীঘ্রই প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে জনরোষের বিস্ফোরণ ঘটবে,” আরেক ক্রেতা সতর্ক করে দেন।গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ঊর্ধ্ব মূল্যের যন্ত্রণার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় শাক সবজির অগ্নি মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। একই রকম ছবি কৃষি প্রধান কল্যাণপুরেও। উল্লেখ্য, কল্যাণপুর এবং কল্যাণপুর সন্নিহিত জনপদ গুলোর একটা বিরাট অংশের মানুষ কোন না কোন ভাবে কৃষির সাথে যেমন যুক্ত। ঠিক একই রকমভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বছরের প্রতিটা সময় নানান প্রকারের শাকসবজির উৎপাদন হয়ে থাকে যা কল্যাণপুরের বাইরেও প্রতিনিয়ত রপ্তানি করা হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে কল্যাণপুর এলাকার মূল বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে শাক-সবজি প্রচন্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি কুমুর ৫০/৬০ টাকা কেজি, টম্যাটো ১২০ টাকা কেজি, মুলা গড়ে ২০ টাকা মুঠা, লাও ৬০ থেকে ১০০ টাকা, লত সিম ১০০ টাকা কেজি, ফুল কপি ২০০ টাকা কেজি, বাধা কপি ১০০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, এছাড়াও বিভিন্ন শাকসবজি যেগুলো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সবগুলোই নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিভিন্ন অংশের ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সাম্প্রতিক অতীতে শাক সবজির দামে এতটা অগ্নিমূল্য লক্ষ্য করা যায়নি।আদা ১২০-২০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১৫০-২২০ টাকা, রসুন ৩৫০-৪২০ টাকা, এবং ধনেপাতা ২৮০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ৩০-৩২ টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা পিস, টম্যাটো ১০০-১২০ টাকা, বেগুন ৯০-১১০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫-৫৫ টাকা, কচু ৪৫-৫৫ টাকা, কুমড়ো ২৫-৩৫ টাকা, গাজর ৮০-১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ফলের বাজারও ছিল বেশ চড়া। আপেল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকায়, বেদানা ২৫০-৩০০, নাশপাতি ১৫০-২০০, পেয়ারা ও শশা ৬০-৮০। শাঁখ আলু ১০০ টাকা, পানিফল ৬০-৮০, বাতাবি লেবু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে।ক্রমবর্ধমান দাম সাধারণ মানুষের জন্য অপরিসীম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এই জটিল সমস্যাটি মোকাবেলা করতে এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর ক্রয়ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারী পদক্ষেপ প্রয়োজন । যদিও এই নিয়ে এখনো মুখ খোলেন নি খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
0 Comments
Leave a Comment