CPIMর সাহায্য ছাড়া কংগ্রেস ভোট জিততে পারতো না : জিতেন চৌধুরী।রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা বামফ্রন্টের।

Entry Thumbnail
ছবি : জিতেন চৌধুরি
Bikash Deb

বৃহত্তর স্বার্থে সি.পি.আই.এম দল ২০২৩সালে কৈলাসহরে নিজেদের দলের বিধায়ককে প্রার্থী না করে কংগ্রেস দলের প্রার্থী বিরজিত সিনহাকে সমর্থন করে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে সি.পি.আই.এম দলের কর্মীরা ভোটে জয়লাভ করানোর পর কংগ্রেস দল বর্তমানে সি.পি.আই.এম দলকে নিয়ে নানান অসামাজিক মন্তব্য করছে। বক্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। কংগ্রেস দলকে নিয়ে আরও বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। সতেরো ডিসেম্বর মংগলবার বিকেলে কৈলাসহরে দলীয় প্রকাশ্য জনসভায় একথা গুলো বলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। উল্লেখ্য, সি.পি.আই.এম কৈলাসহর মহকুমা কমিটির দুদিন ব্যাপী সম্মেলন উপলক্ষে মংগলবার বিকেলে কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রের সামনে দলীয় এক প্রকাশ্য জনসভা অনুস্টিত হয়েছে। জিতেন্দ্র চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, সি.পি.আই.এম নেতা রাজেন্দ্র রিয়াং, সি.পি.আই.এম ঊনকোটি জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশ্বরূপ গোস্বামী সহ আরও অন্যান্য নেতৃত্বরা।

জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী কেন্দ্রের এবং রাজ্যের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন। কেন্দ্রে মোদী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার, ঔষধ দিচ্ছে না। কৃষকদের কৃষি লোন মকুব করার জন্য দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের কৃষকরা কেন্দ্র সরকারের কাছে দাবী করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি লোন মকুব করছেন না। সারা দেশের কৃষকদের কৃষি লোন মকুব করতে চাইলে সাত থেকে আট লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন হতো। অথচ কৃষকদের জন্য সাত আট লক্ষ কোটি টাকা মুকুব না করে দেশের কতিপয় পুঁজিপতিদের সতেরো থেকে আঠারো লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। জিতেন্দ্র চৌধুরী কংগ্রেস দল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান যে, সি.পি.আই.এম দলের কর্মীদের ভোট ছাড়া কোনো ভাবেই ২০২৩সালের বিধানসভা ভোটে কৈলাসহর কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস দলের প্রার্থী বিরজিত সিনহা ভোটে জয়লাভ করতে পারতো না। শুধু তাই নয়, গত আগস্ট মাসে ত্রিস্থর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সি.পি.আই.এম দল ছাড়া কংগ্রেস দল গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পারতো না। কংগ্রেস গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে সি.পি.আই.এম দলকে ভুলে গিয়ে উল্টো সি.পি.আই.এম দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির পাশেই চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। বিজেপি দল পরিচালিত চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি দলের মাতব্বরদের সেবা করার পর সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হচ্ছে। ঠিক তেমনি, কংগ্রেস দল পরিচালিত গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতিতেও কংগ্রেস দলের মাতব্বরদের সেবা করে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হচ্ছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ত্রিপ্রা মোথা দলের মতোই কংগ্রেস কৈলাসহরে বিজেপিকে সাহায্য সহযোগিতা করছে বলে জিতেন্দ্র চৌধুরী প্রকাশ্যেই জানান 

জনসভায় রেকর্ড সংখ্যক দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সতেরো ডিসেম্বর প্রকাশ্য জনসভার মাধ্যমে মহকুমা কমিটির সম্মেলন শুরু হলেও আঠারো ডিসেম্বর বিকেলে মহকুমা কমিটির সম্মেলন সমাপ্ত হবে। প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাজ্যের ত্রিপ্রা মোথা দলকে একটি প্রতারক দল বলেও উল্লেখ করেছেন। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে রেগায় টাকা কমিয়েছে, সারের ভুরতুকি বন্ধ করে দিয়েছে, রেশন বন্ধ করে দিতে চাইছে। সাধারণ মানুষের কল্যানে কোনো কাজই বিজেপি সরকার করছে না। মানিক সরকার আরও বিস্ফোরক বলেন যে, রাজ্যের মানুষ দীর্ঘদিন রাজন্য আমল দেখেছে, কংগ্রেসের ত্রিশ বছর দেখেছে, সি.পি.আই.এম দলের দশ বছর দেখেছে, সন্ত্রাসবাদীদের সাথে কংগ্রেস দলের ৫বছর দেখে সাধারণ মানুষ আবার রাজ্যে সি.পি.আই.এম দলের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো। এবং একটানা ২৫বছর সি.পি.আই.এম দল সরকার পরিচালনা করে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছে। আজ অব্দি বিজেপি দল কিংবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কারোর সাহস হয়নি সি.পি.আই.এম দলের সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে

0 Comments

Leave a Comment