ছবি : কাঞ্চন ও তার নতুন বউ
দ্যা সোশ্যাল বাংলা,ডিজিটাল ডেস্ক : তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহ সবসময়ই বেশি। বর্তমানে টলিগঞ্জ তোলপাড় কাঞ্চন মল্লিকের তিন নম্বর বিয়ের খবরে। লকডাউনের সময় কৌতুকাভিনেতার দ্বিতীয় বিয়েতে দূরত্ব তৈরি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে, এখানেই শেষ নয় কাঞ্চনের স্ত্রী (এখন প্রাক্তন) পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। ‘ঘরভাঙানি’ তকমা জুটেছিল শ্রীময়ী চট্টরাজের।
এখন কাঞ্চন-শ্রীময়ী বিবাহিত। বিয়ের পর সবচেয়ে আলোচনায় দুজনের বয়সের ফারাক। ৫৩-র কাঞ্চন বিয়ে করেছেন ২৬ বছরের ঝকঝকে তরুণীকে। দুজনের বয়সের পার্থক্য ২৭ বছরের। তবে প্রেম থাকলে বয়সটা কোনও ফ্যাক্টর নয়, তার জ্বলজ্যান্ত নিদর্শন দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়। দুজনের বয়সের পার্থক্য ২৬ বছরের! দু-দশক লিভ ইন করার পর ২০২০ সালে ৪৯ বছরের দোলনকে বিয়ে করেন ৭৫-এর দীপঙ্কর। বরাবরই অসময় বয়সী প্রেমের জয়কে কুর্নিশ জানান দোলন। তাঁর আর শ্রীময়ীর জীবনের গল্প অনেকটাই এক।
দোলন রায়ের বিশ্বাস, কে কীভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বয়সের ফারাক নিয়ে ট্রোলিং-কে পাত্তা দেন না অভিনেত্রী। এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, আমার সম্পর্ক আমি নিজের মতো করে মেইনটেন করছি। আমি কবে খাচ্ছি বা খাচ্ছি না সেটা নিয়ে তো কেউ ভাবে না। অন্য কেউ কী বলল সেটা নিয়ে ভাবার কোনও দরকার নেই। ভাবতে গেলেই মন খারাপ হবে।
শ্রীময়ী-কাঞ্চনের মধ্যেও বয়সের ফারাক তাঁদের মতোই। শ্রীময়ীর মতো বয়সেই তিনিও বিবাহিত দীপঙ্কর দে-র প্রেমে পড়েছিলেন। অদ্ভূীত এক সমাপতন! তবে শ্রীময়ীকে দাম্পত্য নিয়ে কোনওরকম টিপস দিতে না-রাজ দোলন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে কাউকে জ্ঞান দেব না। যে এই সম্পর্কটা তৈরি করেছে তাঁর নিশ্চয়ই কোনও বিশেষ গুণ রয়েছে, ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাই তো সে সাহস করে সম্পর্কটা তৈরি করেছে।’ দোলনের বিশ্বাস শ্রীময়ী নিজেই যে সাহস নিয়ে সম্পর্কটা বয়ে নিয়ে যাবেন। তাঁর অন্য কারও কোনও জ্ঞানের প্রয়োজন হবে না।
কিছুদিন আগেই নিবেদিতা অনলাই নামের এক ইউটিউব চ্যানেলকে দোলন জানিয়েছিলেন দীপঙ্করকে বিয়ে করে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেছিলেন, ‘একটা সময় পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তারপর যা হয়, মেয়েরাই সব সময় কম্প্রোমাইজ করে। না হলে তো একটা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ও তো আমার জীবনে প্রায় প্রথমই। আমি স্যাচুরেটেড হয়ে গিয়েছি। ও হয়তো শেষ বয়সে ওর পারা বা না পারা নিয়ে স্যাচুরেটেড হিয়ে গিয়েছে। দোলন রায়ের সংযোজন, কিছুটা মানিয়ে নেওয়া। কারণ মানুষটার ভালবাসা এত বেশি, আমার ভালো লাগা খারাপ লাগার দিকে এত খেয়াল রাখে যে তখন এগুলো আর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি।’ বয়সের ফারাক নিয়ে চিন্তিত নন শ্রীময়ী। কাঞ্চনকে তাঁর ‘হট লাগে’। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘বাবার মতো কাউকে বিয়ে করাটা আমার পছন্দ। এই বয়সের ছেলেদের সিক্স প্যাক থাকবে কিন্তু বোঝাপড়ার খামতি থাকবে।’
0 Comments
Leave a Comment