চাপে পড়ে সন্দীপকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্যদফতর, আরজি কর কাণ্ডের পরেও বড় পদ দিয়েছিল মমতার সরকার

Entry Thumbnail
সন্দীপ ঘোষ
Bikash Deb

দ্যা সোশ্যাল বাংলা , ডিজিটাল ডেস্ক : কিন্তু সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করতে কেন এত সময় লাগল? কেন আগেই ব্যবস্থা নিল না স্বাস্থ্যদফতর? 

সোমবার সন্ধ্যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুর কোর্টে পেশ করা হলে আটদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁর জামিনের আর্জি জানাননি সন্দীপের আইনজীবী। 

এদিকে আদালত থেকে বেরিয়েই মার খেলেন সন্দীপ ঘোষ। একজন পেছন থেকে তাকে চাঁটি মারে বলে খবর। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পরে মঙ্গলবার তাঁকে আলিপুর কোর্টে তোলা হয়। শুনানির শেষে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে যখন আদালত থেকে বের করা হচ্ছিল, তখন চারদিকে লোকজনের ভিড়, জনতা চিৎকার করছে চোর চোর। সেইসময় পিছন দিক থেকে উড়ে এল চড়। 

 অবশেষে সাসপেন্ড করা হল সন্দীপ ঘোষকে। গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে সাসপেন্ড করা হল সন্দীপ ঘোষ। সাসপেন্ড করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তবে আরজি কর কাণ্ডের পরে এই সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশানাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সময় রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এনিয়ে সাফাইও দিয়েছিলেন। অবশেষে সিবিআই গ্রেফতার করতেই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। সাসপেন্ড করা হল সন্দীপ ঘোষকে। 

৮দিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে সন্দীপ ঘোষের। জামিনের আবেদনই করেননি সন্দীপের আইনজীবী। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন সন্দীপ ঘোষকে যে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা তো বছর খানেক আগেই গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তিনিই আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পুলিশমন্ত্রীও তিনি। কিন্তু সেই সময় কেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না? 

এদিকে সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বরেই এদিন একজন সপাটে চড় মারেন বলে খবর। জনতা চিৎকার করতে শুরু করে, চোর চোর। কিন্তু কেন সাসপেন্ড করতে এত সময় নিল সরকার? কেন আগেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়নি? 

এদিকে সন্দীপকে সাসপেন্ড করার দাবিতে বার বার বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলা  হয়েছিল। অবশেষে সাসপেন্ড। সেই সাসপেন্ডের চিঠিতে লেখা রয়েছে, প্রফেসর ডাঃ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার জেরে রুলস ৭( ১সি) অনুসারে তাকে সাসপেন্ড করা হল। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে ওএসডি ও ইও স্পেশাল সেক্রেটারি এই নির্দেশনামা জারি করেছেন। 

0 Comments

Leave a Comment