ছবি : বঙ্গবন্ধুর সাজে
দ্যা সোশ্যাল বাংলা,ডিজিটাল ডেস্ক : শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ এখন এসেছে অন্তর্বতী সরকার। আর হাসিনার নেওয়া বহু পুরনো পদক্ষেপের পুর্নসংস্করণ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশের এই নতুন সরকার। আর তাতেই বাতিল হয়েছে পুরনো সরকারের একাধিক প্রকল্প। আর এই পদক্ষেপের জেরেই বাতিল হচ্ছে পর্দার 'মুজিব' আরিফিন শুভর ১০ কাঠা জমি। তারপর আরিফিন ওই জমির জন্য বরাদ্দ টাকা জমা দিয়ে চুক্তিপত্রে সই করেছিলেন।তবে এখন আর এই জমি শুভর থাকছে না। তবে সেদেশে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, অভিনেতা আরিফিন শুভ-র ১০ কাঠা জমি বাতিলের আসল কারণ হল তাঁর 'বঙ্গবন্ধু'র চরিত্রে অভিনয়।গত ৫ অগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পরই তাঁদের গত ১৫ বছরের রাজত্বে তাঁদের বিবেচনায় দেওয়া প্লটগুলির হিসেব-নিকেশ শুরু করেছে নতুন সরকার। আর তাতেই আরিফিনের জমির প্লটও বাতিল করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। জানা যাচ্ছে, প্রথম ধাপে শুধু নথিভুক্ত হয়নি এমন ১০৩টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করবে রাজউক। আর বরাদ্দসংক্রান্ত অনিয়ম থাকায় ২৫ থেকে ৩০টি প্লট বাতিল করবে জাগৃক। এর মধ্যে ‘মুজিব’ সিনেমার অভিনেতা আরিফিন শুভ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ গাড়ি চালকসহ রাজনীতিবিদ, সচিব, বিচারপতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ করা প্লটও রয়েছে।প্রসঙ্গত, 'বঙ্গবন্ধু' শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে মাত্র ১টাকা পারিশ্রমিকে নাকি অভিনয় করেছিলেন আরিফিন শুভ।
ছবির নাম ছিল মুজিব: এক জাতীর রূপকার। পরিবর্তে তাঁকে পেয়েছিলেন রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট। তবে এখন আর এই জমির প্লট তাঁর থাকছে না বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে ব্যক্তিগত জীবনেও এখন দোলাচলের মধ্যে দিয়েই কাটছে আরিফিন শুভর। বাংলাদেশ যখন গণ অভ্যুত্থানে উত্তাল, ঠিক তখনই ভারতীয় স্ত্রী অর্পিতা সমাদ্দারের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। ভেঙে যায় শুভ-অর্পিতার ৯ বছরের সংসার। ১ অগস্ট সে কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন পদ্মাপারের এই অভিনেতা। প্রসঙ্গত অর্পিতা সমাদ্দার কলকাতার মেয়ে, তবে বিয়ের আগে থেকেই ঢাকায় পোশাকশিল্পী হিসাবে কাজ করছিলেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেছিলেন শুভ-অর্পিতা। আশঙ্কা ছিল, ভিনধর্মে বিয়ের কারণে অশান্তি হতে পারে, তবে তেমন কিছুই ঘটেনি তাঁদের ক্ষেত্রে। শুরুর দিকে তাঁদের দাম্পত্য সুখেরই ছিল বলে জানান যায়। তবে সম্প্রতি আরিফিন শুভ আলাদা হওয়ার কথা জানিয়ে লেখেন, 'অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আর অর্পিতা হয়তো বন্ধু হিসাবেই ঠিক আছি। জীবনসঙ্গী হিসাবে নয়। তবে অর্পিতা আমার এবং আমার মায়ের জন্য যা করেছেন, সেটার জন্য তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ এবং চিরঋণী।' জানা যাচ্ছে অর্পিতা সমাদ্দার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় ফিরেও এসেছেন।
0 Comments
Leave a Comment