ফাইল চিত্র
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন অতিশী। দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) ভিকে সাক্সেনা তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। একই সঙ্গে এদিন আরও পাঁচজন আম আদমি বিধায়ক মন্ত্রী পদের জন্যে শপথ নিয়েছেন। ঐতিহাসিক মুহূর্তে রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।১৯৮২ সালের ৮ জুন অতীশীর জন্ম। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দম্পতি বিজয় সিং এবং ত্রিপ্ত সিংয়ের সন্তান তিনি। বাবা নাম রাখেন অতীশী মারলেনা। মার্কস ও লেনিন শব্দ এক করে মারলেনা নামটি এসেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনী প্রচারের সময়, তিনি মারলেনা অংশটি বাদ দেন। ধর্মীয় বিভ্রান্তি এড়াতেই এই অংশ বাদ যায়। অনেকে মনে করতেন তিনি খ্রিস্টান। যদিও তিনি পাঞ্জাবি রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন।আম আদমি পার্টির শুরুর দিন থেকেই রয়েছেন অতীশী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে, পূর্ব দিল্লির প্রতিনিধি হিসেবে আপের ঘোষিত প্রথম প্রার্থীদের মধ্যে অতীশী ছিলেন। দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ এই নেত্রী।এখন কালকাজির বিধায়ক অতীশী। আম আদমি পার্টির রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য তিনি। বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা, পিডব্লিউডি, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ১৭ এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে শিক্ষা বিষয়ক দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে অতীশী আম আদমি পার্টির নীতি প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। তিনি ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলায় জল সত্যাগ্রহকে সমর্থন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরবর্তী আইনি লড়াইয়েও সাহায্য করেন। ২০২০ সালের দিল্লি নির্বাচনের পরে, অতীশিকে দল গোয়া ইউনিটের ইনচার্জ নিযুক্ত করে। দলের মধ্যে তাঁর দায়িত্ব আরও বাড়ে।তিনি ২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লির কালকাজি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি বিজেপির ধরমবীর সিংকে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে পরাজিত করেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের পদত্যাগ করেন। সৌরভ ভরদ্বাজের সঙ্গে তিনি দিল্লি সরকারে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হন।
0 Comments
Leave a Comment