ফাইল চিত্র
বকরি ইদের আগেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার। ইদের আগে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ। নির্দেশিকা অনুযায়ী রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে নমাজ পড়া ও যত্রতত্র পশু কোরাবানি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি নির্দেশিকা আরও বলা হয়েছে, যে সব পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেইসব পশু যদি কেউ কোরবানি দেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী বলেন, 'কোন কোন জায়গায় কোরবানি দেওয়া যাবে তা আগে থেকে নির্ধারিত হয়েছে। ওই জায়গাগুলি ব্যতীত অন্য কোনও জায়গায় পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি স্পর্শকাতর বা বিতর্কিত কোনও স্থানে কোরবানির নিয়ম পালন করা যাবে না। যে সব পশু কোরবানি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেইসব পশু যাতে কেউ কোরবানি দিতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে কর্মকর্তাদের। পশু কোরবানির পর বর্জ্য সরিয়ে ফেলার পদ্ধতিগত কর্ম পরিকল্পনা সব জেলায় থাকতে হবে।'আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে নমাজ পড়তে হবে। রাস্তা অবরোধ করে নমাজ পড়া যাবে না। নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবশ্য়ই সম্মান জানানো হবে তবে আলটপকা নতুন কোনও নিয়মকে মোটেই প্রশয় দেওয়া হবে না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যোগী প্রশাসন।মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনিক আধিকারিকদের এবং পুলিশকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। আসন্ন উৎসবে রাজ্যে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, কোথাও যাতে কোনও হিংসার আবহ তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎসবকে মাথায় রেখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কোনও খামতি থাকা চলবে না বলে স্পষ্ট বার্তা যোগী। ১৬ জুন গঙ্গা দশেরা উদযাপন করবে হিন্দুরা, ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন উদযাপন করবেন বকরি ইদ। ২২ জুলাই আবার কানওয়ার যাত্রায় অংশ নেবেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের উৎসব পর পর হওয়ার রাজ্য়ের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন বাড়তি সতর্ক থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।
0 Comments
Leave a Comment