বোর্ডিংয়ের মতো কড়াকড়ি করতেন পণ্ডিত, খেপে গিয়েছিলেন বিদেশিরা, গত সিজনের কিস্সা ফাঁস KKR প্রাক্তনীর

Entry Thumbnail
এবারের আইপিএলে সুনীল নারিনের সঙ্গে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
Bikash Deb

দ্যা সোশাল বাংলা , ডিজিটাল ডেস্ক : চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কোচিং স্টাইলে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন বিদেশি খেলোয়াড়দের একাংশ। তাঁর ‘মিলিটারি’ মেজাজের কোচিং স্টাইলের কারণে ড্রেসিংরুমে একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ক্রিকেটার ডেভিড ওয়াইজ। স্যাম কেরের পডকাস্ট অনুষ্ঠান ‘হিটম্যান ফর হায়ার: আ ইয়ার ইন দ্য লাইফ অফ আ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটার’-এ তিনি দাবি করলেন, বোর্ডিংয়ের মতো কড়াকড়ি করতেন পণ্ডিত। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেরকম আচরণ করছেন, সেরকম আচরণ তো বিদেশের তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে করা যায় না। কিন্তু পণ্ডিত সেটাই করতেন। কীরকম ব্যবহার করতে হবে, আচার-আচরণ কী হবে, সেটা শুনতে মোটেও রাজি থাকেন না বিদেশিরা। কিন্তু ২০২৩ সালে কেকেআরের ড্রেসিংরুমে ঠিক সেটাই হয়েছিল বলে জানালেন ওয়াইজ।

ওই পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘দলের চার দেওয়ালের মধ্যে কয়েকটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দলের মধ্যে এমন কিছু জিনিস হচ্ছিল, যাতে অনেক খেলোয়াড়ই সন্তুষ্ট ছিল না। অনেক সময়ই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বেশ কঠিন ছিল। আমরা জিতছিলাম বা হারছিলাম, সেটার কারণে নয়। ম্যাচের ফলাফলের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের পরিবেশের কোনও সম্পর্ক ছিল না।’

কোনওরকম রাখঢাক না করে কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার জানান, কোচিং স্টাইলের জন্যই ড্রেসিংরুমে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। যে পণ্ডিত কেকেআরে এসেছিলেন মধ্যপ্রদেশকে রঞ্জি ট্রফি জেতানোর পরে। ওয়াইজ বলেন, ‘একজন নতুন কোচ এসেছিলেন। উনি একটি নির্দিষ্ট স্টাইলে দল চালাতে পছন্দ করতেন। কিন্তু সেটা খেলোয়াড়দের বিশেষ পছন্দের ছিল না। তার ফলে ড্রেসিংরুমের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। খেলোয়াড়রা তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। কারণ গত কয়েক বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘নয়া কোচ নতুন কিছু বিষয় চালু করেছিলেন, যেগুলির হাত ধরে সাফল্য আসবে বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বিদেশি খেলোয়াড়রা সবসময় সেই বিষয়গুলি পছন্দ করে না। ভারতে উনি বেশ মিলিটারি মেজাজের কোচ হিসেবে পরিচিত। কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ হিসেবে পরিচিত। যে বিদেশি খেলোয়াড়রা পুরো বিশ্বে খেলে বেড়িয়েছে, তাদের এমন কাউকে প্রয়োজন নেই, যিনি এসে বলবেন যে কীরকম আচরণ করতে হবে, সারাদিন কী করতে হবে।’

ওয়াইজ জানান, ব্যক্তিগতভাবে পণ্ডিতের সেই মিলিটারি স্টাইলের কোচিং তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। বরং তিনি স্রেফ খেলার উপর ফোকাস করতেন। প্রাক্তন কেকেআর তারকা বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে বেশি ঘামাইনি। আমার কোনও সমস্যা ছিল না। আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল যে আপনার সার্কাস, আপনি পুরোটা পরিচালনা করেন। দিনের শেষে আমি এখানে খেলতে এসেছি। আপনি যদি আমায় কোনও কাজ করতে বলেন, আমি করব। কিন্তু আরও খেলোয়াড় ছিল, যারা আমার থেকে বেশি একগুঁয়ে ছিল।’

0 Comments

Leave a Comment