ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন প্রতিযোগী, অমিতাভ বললেন, ‘আমিও বহুবার হাসপাতালের দরজায়

Entry Thumbnail
অমিতাভ বচ্চন ও অক্ষয় নারাং
Bikash Deb

দ্যা সোশ্যাল বাংলা , ডিজিটাল ডেস্ক : চলছে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-১৬, বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের সামনে এবার উপস্থিত ক্যানসার আক্রান্ত অক্ষয় নারাং, যিনি কিনা নয়া দিল্লির বাসিন্দা। শোয়ের এক পর্বে নিজের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রিয় তারকার সঙ্গে ভাগ করে নিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন অক্ষয় নারাং। তাঁকে জীবন নিয়ে উৎসাহিত করতে নিজের ঘন ঘন হাসপাতাল পৌঁছনোর কথা বলেন অমিতাভ।

অক্ষয় কেঁদে ফেলে বলেন, যখন আমার বন্ধুরা সকলে কলেজ জীবন উপভোগ করছিল, তখন আমি ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমার চিকিৎসা চলছিল। নিজের কথা বলতে গিয়ে অক্ষয় নারাং বলেন, ‘আমি বরাবরই শিল্পের প্রতি আগ্রহী ছিলাম। আমি বড় হওয়ার সঙ্গে ডিজাইনের সঙ্গে আমার পরিচয় হল। ২০১৮ সালে, আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রায় ২ বছর ধরে চিকিৎসা চলেছিল। চিকিৎসার এই সময়টা আমি বাড়িতেই কাটিয়েছি, তখন নিজেই ডিজাইনিং শিখতে শুরু করি।’

প্রসঙ্গ প্রতিযোগী অক্ষয় নারায় পেশায় এক একজন মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার এবং পাশাপাশি বাবার ব্যবসাও দেখাশোনা করেন।

ঠিক কী হয়েছে? এবিষয়টি বলতে গিয়ে অক্ষয় বলেন, ‘আমার বেশ কিছুদিন ধরে হাঁটুতে ব্যাথা করছিল। স্ক্যান ও অন্যান্য টেস্ট করার পরে চিকিৎসকরা আমার শরীরে একটা গল্ফ বলের আকারের টিউমার খুঁজে পান। পরে বায়োপসির মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, এই টিউমারটি আদপে ক্যানসার। অস্ত্রোপচার হয়, কেমো-সেশনও চলে। তাই যে সময়টা আমার বন্ধুরা কলেজ যাচ্ছিল, সেসময়টাতে আমি হাসপাতালে কাটিয়েছি। তখন আমার এমন কিছু অভিজ্ঞতা হয়, যা আমার জীবনই বদলে দিয়েছিল। আমি ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চাকেও দেখেছি, যার অস্ত্রোপচার করে পা কেটে বাদ দিতেও হয়েছিল।’

অক্ষয় নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন, তাঁর চোখ জলে ভরে যায়। অক্ষয় নারাং বলেন, 'আমার চারপাশে আমার পরিবার ছিল এবং আমি পরিবারের লোকজনের সঙ্গেই বাড়ি ফিরতাম। আমার অভিযোগ করার কোনো কারণ ছিল না। তবে এই সময়টাতে আমার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে দিয়েছে।'

প্রতিযোগী অক্ষয় নারাং-কে আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেন অমিতাভ। বিগ বি বলেন, ‘এই যে আমি তোমার সামনে এখন বসে আছি। আমিও হাসপাতালে বহুবার হাসপাতালের চক্কর কেটেছি। তবে সকলের প্রার্থনায় সুস্থ হয়ে উঠেছি। আর আপনার বন্ধুরা যাঁরা কলেজে যাচ্ছিল তাঁদের নিয়ে মন খারাপ করার কোনও কারণ নেই কারণ তাঁরা কেবিসিতে আসেনি।, আপনি এসেছেন।’

 অক্ষয় নারাং অমিতাভ বচ্চনকে বলেন, যখনই আমার মা আমার আপনার ছবি দেখতেন, উনি সবসময় আপনাকে ভাইয়া বলে সম্বোধন করতেন।'

0 Comments

Leave a Comment