রাজ্যের মানুষ আজ নিরাপদ নন। দায়ী কে?

Entry Thumbnail
মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী
Sujata Adhikari

রাজ্যের মানুষ কতটা নিরাপদ আছে? এই প্রশ্নটা এখন করতেই হয় তার কারণ একের পর এক বিভীষিকার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে ত্রিপুরা রাজ্যে।একদিকে উত্তর জেলায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনার জেরে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে আর এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ। ত্রিপুরার মানুষ কতটা নিরাপদে আছে চলুন আজ তার চুল চেরা বিশ্লেষণ করি। বেশি দিনের আগের কথা বলতে হবে না কিছু মাস পূর্বে ধলাই জেলার অন্তর্গত গন্ডাছড়া মহকুমায় একটি দুর্ঘটনায় যুবক প্রাণ হারায় আর সেই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গা যা বহু বছর ধরে ত্রিপুরার মানুষ দেখেনি। এই ঘটনার জেনে প্রায় ১৭০ টি পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো বহু মানুষ গণ্ডাছড়ায় ত্রাণ শিবিরে রয়েছে। তার ঠিক কিছুদিন পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার জন্য বহু অসামাজিক লোক ধর্মের ঊর্ধ্বে আইনের উর্ধ্বে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা ক্ষেত্র আঘাত করেছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ উত্তর জেলার কদমতলা। এই ঘটনাগুলি যেমন প্রশ্ন তুলছে যে ত্রিপুরা রাজ্যে কোথাও না কোথাও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার কাজ করছে বড় বড় রাঘববোয়াল যাদের মাথায় হাত রয়েছে বড়সড় ব্যক্তিত্বদের। এই ঘটনাগুলোর পাশাপাশি রাজ্যের মানুষ কিছু মাস পূর্বে পানিসাগরে গণধর্ষণ, বলপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, নাবালিকা অপহরণ এর ঘটনা দেখেছে। তারই মধ্যে রাজধানী আগরতলায় দশ দিনের মাথায় একের পর এক বীভৎস্য ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজধানী আগরতলার মেলার মাঠে হঠাৎ করেই এক ব্যবসায়ী অপহরণের খবর আবার অপরদিকে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন কে কেন্দ্র করে কার্নিভালে শিশুদের উপর আক্রমণ আর ঠিক তার একদিন পর আগরতলার মেলার মাঠে পুলিশের চোখের সামনে এক ব্যক্তিকে মেরে ফেলার চেষ্টা এই ঘটনাগুলি দেখে মানুষ ভয়ে আতঙ্কে গুটিয়ে রয়েছে । এবারের প্রশ্ন রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার হাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্ভাগ্যবশত ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে দুই পদে একই চেহারা অতএব দায়িত্ব প্রচুর। তাহলে কে ব্যর্থ? পুলিশ? প্রশাসন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী? সরকার?

0 Comments

Leave a Comment