ডুবে যাচ্ছে ১৩ লক্ষ কোটি ব্যয়ে সমুদ্রের মাঝে কৃত্রিম দ্বীপে তৈরি বিমানবন্দর, চিন্তায় জাপান

Entry Thumbnail
জাপানের ওসাকা স্টেশন থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওসাকা বের ঠিক মাঝখানে দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি হয়েছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
Bikash Deb

২৯ বছর আগে ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণের জন্য দরজা খোলে জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। জাপানের ওসাকা, কিয়োটো এবং কোবের মতো ব্যস্ত শহর থেকে নিকটতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এটি।জাপানের ওসাকা স্টেশন থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওসাকা বের ঠিক মাঝখানে দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি হয়েছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।জাপানের ওসাকা স্টেশন থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওসাকা বের ঠিক মাঝখানে দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি হয়েছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।কিন্তু যে দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে তা ক্রমশ সমুদ্রের তলায় ডুবে যাচ্ছে। এমনকি, মূল ভূখণ্ড থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে এই বিমানবন্দর।বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইতিমধ্যেই কৃত্রিম দ্বীপের ৩৮ ফুটেরও বেশি ডুবে গিয়েছে। ২০৫৬ সালের মধ্যে আরও ১৩ ফুট সমুদ্রের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর বিমানবন্দর তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। কৃত্রিম দ্বীপ দু’টি নির্মাণ করতে প্রথমে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর পাঁচ ফুট উচ্চতার মাটি দেওয়া হয়। তার উপর ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২২ লক্ষ পাইপ গেঁথে দেওয়া হয়।জমির ভিত শক্ত করতে পাইপের উপর মাটির সঙ্গে কাদা এবং বালি মেশানো হয়। ওসাকা বের উপর তৈরি দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের জমি ভেজা স্পঞ্জের মতো ছিল। সেই জমি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তার পর বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।ষাটের দশকে টোকিয়ো শহরের সঙ্গে কানসাই এলাকার বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে কোবে এবং ওসাকা শহরের কাছাকাছি একটি বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করে জাপান সরকার।প্রথমে ভাবা হয়েছিল ইটামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনর্নির্মাণ করে আরও বর্ধিত করা হবে। কিন্তু ইটামি এবং টোয়োনাকা শহরের কাছে এত উঁচু আবাসন রয়েছে যে বিমানবন্দর তৈরির জন্য ফাঁকা জমি পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। এমনকি সেখানকার বাসিন্দারাও আপত্তি জানাতে শুরু করেন। বিমানবন্দর তৈরি হলে শব্দদূষণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি জানান তাঁরা। তাই সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।২০১৬ সালের গণনা অনুযায়ী কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোট ২ কোটি ৬০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। সেই সময় জাপানের তৃতীয় ব্যস্ততম এবং এশিয়ার ত্রিশতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসাবে নাম লেখায় কানসাই বিমানবন্দর। তবে কৃত্রিম দ্বীপের প্রতিনিয়ত ডুবে যাওয়ার ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে জাপান সরকারকে। তা হলে কি এই বিমানবন্দরটি কয়েক দশকের মধ্যে সমুদ্রের তলায় চলে যাবে? না কি এর বিকল্প হিসাবে অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

0 Comments

Leave a Comment