ছবি : MOON
দ্যা সোশ্যাল বাংলা , ডিজিটাল ডেস্ক : ২৪ ঘণ্টার বদলে দিনের দৈর্ঘ্য হয়ে যাবে ২৫ ঘণ্টার! কারণ, একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের উপগ্রহ। আর চাঁদের এই দূরে চলে যাওয়ার কারণেই বেড়ে যাবে দিনের দৈর্ঘ্য।
২৪ ঘণ্টার বদলে দিনের দৈর্ঘ্য হয়ে যাবে ২৫ ঘণ্টার! কারণ, একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের উপগ্রহ। আর চাঁদের এই দূরে চলে যাওয়ার কারণেই বেড়ে যাবে দিনের দৈর্ঘ্য। তবে, তা হতে আরও ২০ কোটি বছর সময় লাগবে। আমাদের পৃখিবীর সময়ে বিবেচনা করলে, হয়তো সময়টা অনেকটাই বেশি। কিন্তু, মহাজাগতিক সময়ের নিরিখে, এই ২০ কোটি বছর কোনও সময়ই নয়। বিজ্ঞানীরা আরও দেখেছেন, প্রাচীনকালে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য অনেকটাই কম ছিল। গবহেষণায় পাওয়া গিয়েছে, আজ থেকে ১৪০ কোটি বছর আগে মাত্র ১৮ ঘণ্টাতেই দিন হত।
বর্তমানে, পৃথিবী থেকে চাঁদের দৈর্ঘ্য ৩,৮৪,৪০০ কিলোমিটার। চাঁদ যে পৃথিবী থেকে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে, তা অবশ্য কয়েক দশক আগেই জানতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে, সম্প্রতি, উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন এক গবেষক দল, ঐতিহাসিক এবং ভূতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে এই বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান চালিয়েছেন। ৯ কোটি বছরের পুরোনো একটি পাথুরে ভূতাত্ত্বিক গঠনের উপর গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, পৃথিবী থেকে চাঁদের ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে পৃথিবীর উপর। বিশেষ করে আমাদের গ্রহের দিনের দৈর্ঘ্যের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে এই ঘটনার। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাথমিকভাবে এর জন্য পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যে মহাকর্ষীয় মিথস্ক্রিয়াই দায়ী।
উইসকনসিন-ম্যাডিসন ইউনিভার্সিটির ভূ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিফেন মায়ার্স বলেছেন, “ঘূর্ণায়মান ফিগার স্কেটাররা যেমন তাদের দুই হাত প্রসারিত করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের গতি কমে আসে, সেই রকমই চাঁদ সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি কমছে এবং দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রোক্রোনোলজি ব্যবহার করে সুদূর অতীতের সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা। অতি প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক সময়ের একটা পরিমাপ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আধুনিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে যাতে কয়েকশো কোটি বছরের পুরানো শিলাগুলি নিয়ে গবেষণা করা যায়, এমন জায়গায় পৌঁছতে চেয়েছিলেন।তা করতে গিয়েই চাঁদের দূরে সরে যাওয়ার সঙ্গে পৃথিবীর সময়ের এই সম্পর্ক জানতে পেরেছেন তাঁরা। প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং পলির স্তরগুলি পরীক্ষা করে, গবেষকরা কয়েকশ বছর ধরে পৃথিবী ও চাঁদের সম্পর্কের ইতিহাস খুঁজে পেয়েছেন। তাদের গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমান তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হারেই পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। তবে পৃথিবীর এই দূরে সরে যাওয়ার হার নির্ভর করে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি এবং মহাদেশীয় প্রবাহ-সহ বিভিন্ন কারণের উপর। তাই কখনও বেশি গতিতে চাঁদ সরেছে পৃথিবী থেকে। আবার কখনও কম গতিতে।।
0 Comments
Leave a Comment