ছবি : মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরা, দ্যা সোশ্যাল বাংলা , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন, যা রাজ্যের পুজার মরসুমে চাঁদা সংগ্রহ এবং বাজি ব্যবহারের উপর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন ও তাঁদের কষ্ট কমানো।
মুখ্যমন্ত্রী সাহা জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ দুর্দশার শিকার হয়েছেন। বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে, এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই পরিস্থিতিতে, চাঁদা সংগ্রহ ও বাজি পোড়ানোর মতো কার্যক্রম রাজ্যের জনগণের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা সৃষ্টি করছে।
চাঁদা সংগ্রহের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
পুজার সময় চাঁদা সংগ্রহ একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক সময় স্থানীয় জনগণের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করে। মুখ্যমন্ত্রী সাহা জানিয়েছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাঁদার জন্য যে কোনো ধরনের জুলুম বা চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, চাঁদা সংগ্রহকারী দলগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাজি ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বন্যার পরে বাজি পোড়ানো একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এতে পরিবেশের দূষণ বাড়ছে এবং ধোঁয়ার কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সাহা বাজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। পুজার সময়ে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনুমতি দেওয়া হবে না এবং বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সরকারি সহায়তা ও পুনর্বাসন
মুখ্যমন্ত্রী সাহা বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ ত্রাণ, পুনর্বাসন পরিকল্পনা এবং জরুরি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন পুজার সময়ে জনগণের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার এই পদক্ষেপগুলো ত্রিপুরার বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সঠিক উদ্যোগ বলে বিবেচিত হচ্ছে। চাঁদা সংগ্রহ ও বাজি ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার রাজ্যের জনগণের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছে এবং উৎসবের সময় সামাজিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রস্তাবনা করেছে। আশা করা যায়, এই পদক্ষেপগুলো জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং সামগ্রিকভাবে রাজ্যের উন্নয়ন ও শান্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
0 Comments
Leave a Comment