৫০ লক্ষ টাকার নেশা সামগ্রী উদ্ধার

Entry Thumbnail
আটক কৃত সহ মহকুমা পুলিশ
Sujata Adhikari

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে আবারো বিরাট সাফল্য অর্জন করে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ । বহিঃরাজ্য আসাম থেকে আগত একটি ৬ চাকা পন্যবাহী পাথর বুঝাই ট্রিপার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭২ কার্টন এসকফ ও ফেন্সিডিল । যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকার উপর হবে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে অনুমান । সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় গাড়ি সহ ২ নেশার মদতপুষ্ট চালক'কে ও নিয়ে আসা হয় মুঙ্গিয়াকামী থানায় । ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাত আনুমানিক ৪ টা নাগাদ মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের কাছে একটি গোপন সূত্র মারফত খবর আসে আজ সকালে একটি পণ্যবাহী ট্রিপার গাড়ি করে ফেন্সিডিল পাচার হবে আগরতলার উদ্দেশ্যে । সেই মোতাবেক গাড়িটিকে আটক করতে ভোর রাত থেকেই মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ বাবুরা আঠারমুড়া পাহাড়ের ৪১ মাইল এলাকার নাকা পয়েন্টে হাই এলার্ট জারি করে । অতঃপর ভোর রাতেই আমবাসার দিক থেকে হঠাৎ একটি ৬ চাকা পন্যবাহী পাথর বুঝাই ট্রিপার গাড়ি যার নম্বর NL 01 AF 6187 তেলিয়ামুড়ার দিকে আসছিল । সঙ্গে সঙ্গেই সন্দেহ মূলতঃ ৪১ মাইল পুলিশি নাকা পয়েন্ট এলাকায় এই গাড়িটিকে দাঁড় করানোর জন্য সিগন্যাল দিলে দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর গাড়িটির পাথরের নিচ থেকে উদ্ধার হয় ৭২ প্যাকেট তথা ৯ হাজার ৯০০ টি এসকফ ও ফেন্সিডিল । যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি তথা ৫০ লাখ টাকার উপর হবে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান । সঙ্গে সঙ্গেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্না লাল সেন সহ তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক কার্যালয়ের এক বিশেষ টিম । সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি সহ আটক করা হয় গাড়ির চালক ও সহ-চালক'কে । তবে এই নেশা কারবারির সঙ্গে উতপ্রোত ভাবে কারা জড়িত বা এই নেশার রমরমা বাণিজ্যের পেছনে মূল পান্ডা কে বা কারা রয়েছে এদের কাউকেই জালে তুলতে পারে নি পুলিশ ‌। তবে ইতি মধ্যেই পুলিশ একটি NDPS ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত জারি রেখেছে । তবে ত্রিপুরা রাজ্যের মূল প্রবেশ পথ চুরাইবাড়ি হাই এলার্টের পুলিশি নাকা পার হয়ে কিভাবে বহিঃরাজ্যের এই ফেন্সিডিল বুঝাই ট্রিপার গাড়িটি ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করলো??? তাহলে কি পুলিশেরই কিছু কিছু খাঁকি বাবুরা ত্রিপুরায় নেশার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যেতে ও নেশা পাচার কান্ডে নেশা কারবারির মাফিয়াদের মদত দিতে গোপনে সাহায্য করছে! আর যদি তা না হয়েই থাকে তাহলে কিভাবে এই পাথর বুঝাই ট্রিপার গাড়িটি বহিঃরাজ্য থেকে অর্ধ কোটি টাকার ফেন্সিডিল নিয়ে ত্রিপুরার এন্ট্রি চুরাইবাড়ি গেইট দিয়ে পুলিশের হাই এলার্ট চেকিং থাকা সত্ত্বেও গাড়িটি রাজ্যের ৩ টি জেলার এতো এতো থানা পারাপার হয়ে ও তথাকথিত এলাকার থানার পুলিশ বাবুদের মাথায় টুপি পড়িয়ে অবশেষে গাড়িটি তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অধীন মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশের হাতে এসেই আটক হলো । এই নিয়ে কিন্তু ইতি মধ্যেই ত্রিপুরার একাংশ রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত ত্রিপুরা পুলিশের সততা নীতি আদর্শ ও দায়িত্ব ও কর্তব্য পরায়ণতা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বুদ্ধিজীবী মহল জুড়ে । এই দিকে এই ফেন্সিডিল বাণিজ্যে ত্রিপুরার কোন শীর্ষ মাথা কাজ করছে এর মূল পাান্ডা'কে আইনি জালে তুলতে ইতি মধ্যেই পুলিশ জোর কদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে । তবে এখন মূলতঃ এটাই দেখার বিষয় যে যারা এখনো রাজ্যের মাটিতে থেকে রাজ্যের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে নেশার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আদৌও আইনি জালে তুলতে পুলিশের সামর্থ্য হয় কিনা! এই দিকে শারদোৎসবের প্রাক মুহূর্তে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের এই বিরাট সাফল্যে সচেতন মহল জুড়েও ব্যাপক খুশির হাওয়া বইছে ।।

0 Comments

Leave a Comment