বিগত বন্যায় ভারী বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে টিলা ভূমির ধস ভেঙ্গে স্বপন দেবনাথ এর বসতঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
দুদিন পরই, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও তহশিলদার এবং অন্যান্য শাসক দলের সমাজসেবকরা এসে প্রত্যক্ষ করে গেছেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এখনও অবধি স্বপন দেবনাথ এর ভাগ্যে একটি টাকাও সাহায্য না পাওয়ায় হত দরিদ্র স্বপন দেবনাথ পরিবার নিয়ে বসত করে বসবাস করা অত্যান্ত দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি ছাড়া অন্য কিছু সাহায্য মিলছে না। তাই,
রবিবার সাত সকালে সংবাদ কর্মীকে ডেকে নিয়ে স্বপন বাবু তার অসন্তুোসের ব্যক্ত করলেন। এই ঘটনা সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত কাঠালিয়া ব্লক এলাকার উত্তর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের কাঠালিয়া ব্লকের লাগোয়া পশ্চিম পাড়ায় স্বপনের বসতবাড়ি। উনি পেশায় একজন দর্জি। পরিবারে চারজন। এক ছেলে ও এক মেয়ে। আর্থিক চরম সংকটের মধ্যে থেকেও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখাচ্ছেন। বসত বাড়ি ছাড়া স্বপনের আর কোন জায়গা নেই। সংবাদ কর্মীর কাছে ধারস্ত হয়ে তিনি জানান, দেখুনঃ- আমি একটা সময়ে উত্তর মহেশপুর রামকালী সমাজ শিক্ষা কেন্দ্রের বুথ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। বর্তমানে এই দায়িত্বে না থাকলেও বিজেপির একজন কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমি একটি সরকারি ঘর পেয়েছি। যে টাকা পেয়েছিলাম বাড়তি আরো কিছু টাকা খরচ করে পাকা ওয়াল ঘর টিনের ছাউনি দিয়ে ঘরে নির্বিঘ্নে বসবাস করছিলাম। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার কারণে বিগত ভারী বৃষ্টিতে টিলাভূমি ভেঙে আমার ঘরের ওয়ালের প্রায় অর্ধেক পর্যন্ত মাটি ভরাট হয়ে গেছে। এখন এই মাটি সরানোর মত আমার সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই এখনো আমি আশাবাদী সরকার আমার প্রতি একটু দৃষ্টি রেখে আর্থিক সাহায্য করবেন। প্রধান থেকে শুরু করে এমনকি ভিডিওর সাথেও কথা বলেছি। শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া অন্য কিছু পাচ্ছিনা তাদের কাছ থেকে।
যতই দিন অতিবাহিত হচ্ছে, মাটি চুপসে ওয়ালের ভিতর দিয়ে ঘরে ঢুকে জল। এই অবস্থায় আমার ঘরের পাকা ওয়ালও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাই, এই মুহূর্তে সরকারি সাহায্য না পেলে আমার বসত ঘরটি একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে।
ভারী বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে টিলা ভূমির ধস ভেঙ্গে স্বপন দেবনাথ এর বসতঘরের ব্যাপক ক্ষতি
Bikash Deb
0 Comments
Leave a Comment