ফাইল চিত্র
এক দেশ, এক নির্বাচন-এ সিলমোহর দিল মোদীর মন্ত্রিসভা। গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা ছিল যে চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আসতে পারে। অবশেষে মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে গেল এই বিল। এবার তা বিল আকারে চলতি অধিবেশনে পাশ করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। যা খবর, আগামী সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত বিল সংসদে পেশ করা হতে পারে।এখন দেখার এই বিল সংসদের দুই কক্ষ অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয় নাকি। ইতিমধ্যে এই বিল নিয়ে একজোট বিরোধীরা। 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা। এমনকি এই বিলের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।এই বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন হবে। গত কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে জোরাল সওয়াল করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ গুরুত্বপূর্ণ দিকে মোড় নিচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আর এর মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন মিলে গেল এই বিলের উপর।রাজনৈতিক মহলের মতে, 'এক দেশ এক নির্বাচন' পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব একটা সহজ হবে না। এক্ষেত্রে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কিন্তু বিজেপির কাছে সেই সংখ্যা নেই বলেই দাবি রাজনৈতিকমহলের। অন্যদিকে এই বিল জেপিসি'তে আলোচনার জন্য যেতে পারে বলেও মত রাজনৈতিকমহলের একাংশের। তবে এই বিল নিয়ে গোটা দেশের নজর এখন নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।যদিও এক দেশ, এক ভোটের নীতি বাস্তবসম্মত নয় বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। ভোটের সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে রাজ্যেরই ভোট বেশ কয়েক দফায় করতে হয়, সেখানে এক দেশ এক নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। আঞ্চলিক দলগুলিকে পরাজয়ের মুখে ফেলতে এক দেশ, এক ভোটের নীতি বিজেপির গিমিক বলে দাবি তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ ইন্ডি জোটের নেতৃত্বরা।
0 Comments
Leave a Comment